জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে

জঙ্গিতৎপরতার অভিযোগে ২৭ বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে পাঠানোর ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদের উত্থানের প্রেক্ষাপটে এখন বাংলাদেশি শ্রমিকরা বিদেশে বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে। এমনকি জনশক্তি রপ্তানিতেও এই ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত হচ্ছে এই জনশক্তি রপ্তানি। কাজেই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।

জঙ্গিবাদ এখন বিশ্বব্যাপী এক বিরাট সমস্যার নাম। বাংলাদেশও এ সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। যদিও আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে, কিন্তু জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল করা যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুর সরকার যে অভিযোগ করছে তা নিয়েও জোর তদন্ত চালাতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তাহলে বিদেশ যাওয়ার সময় এদের ব্যাপারে পুলিশ রিপোর্ট কি ছিল? পুলিশ কি তখন জানতো না? এখন থেকে তাই এসব ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যারা দেশের বাইরে কাজ করতে যায় তারা শুধু অর্থনৈতিকভাবে অবদানই রাখে না, তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিও জড়িত। কাজেই কেউ কোনো নেতিবাচক কাজ করলে দায়টা পড়বে কিন্তু অনেকের উপর। এ  ব্যাপারে প্রবাসী ও বৈদেশিক শ্রমকল্যাণ মন্ত্রণালয়,  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কোন বাংলাদেশী নাগরিক বিদেশের মাটিতে গিয়ে কেউ যাতে হয়রানির শিকার হয় নিশ্চিত করতে হবে সেটিও।