বৃহস্পতিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

রংপুরকে ১৩ ওভারেই হারালো মুশফিকের খুলনা

জোনায়েত হোসেনঃ ব্যাটসম্যানরাই দলের হার বলতে গেলে নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। রংপুর রেঞ্জার্স তবু তাকিয়ে ছিল বোলারদের দিকে। তবে ১৩৭ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াইটাও করতে পারেননি বোলাররা। ১৩ ওভারের মধ্যেই (১২.৩ ওভার) রংপুরকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহীমের দল খুলনা টাইগার্স।

লক্ষ্য ছিল ১৩৮ রানের। ওপেনিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ১ রানে সাজঘরের পথ ধরলেও খুলনার তাতে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর রাইলি রুশো।

২২ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করার গুরবাজকে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। তবে পরের সময়টায় আর কোনো বিপদে পড়েনি খুলনা।

মুশফিকুর রহীমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রুশো। ৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। মুশফিক করেন ১৭ বলে হার না মানা ১৭ রান।

এর আগে মোহাম্মদ নাইম শেখ আর ফজলে মাহমুদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি এগুতে পারেনি রংপুর রেঞ্জার্স।

খুলনার বোলারদের তোপে শুরু থেকেই স্বস্তিতে ছিল না টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর। বিধ্বংসী চেহারায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার আগেই মোহাম্মদ শাহজাদকে (৭ বলে ১১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির।

মোহাম্মদ নবীও ৪ রানের বেশি এগোতে পারেননি। আমিরের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ফজলে মাহমুদ অবশ্য তারপরও চালিয়ে খেলছিলেন। ৩৩ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ৪২ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান শফিউল।

এরপর আর ৫ রান যোগ করতে ৩ উইকেট হারিয়েছে রংপুর, এই তিন উইকেটই পড়েছে শেষ ওভারে। শেষ ওভারের শেষ বলে ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন লুইস গ্রেগরি।

খুলনার বোলারদের মধ্যে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন শফিউল ইসলাম। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার শহিদুল ইসলাম আর মোহাম্মদ আমিরের।