সোহানের দৃঢ়তায় সিলেটকে হারাল চট্টগ্রাম

খন্দকার আয়েশা শাহরিয়ারঃ পুঁজি মাত্র ১২৯ রানের। এই পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করলো সিলেট থান্ডার্স। কিন্তু ম্যাচে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারলেও জয়টা আর পকেটে পুরে নিতে পারলো না তারা। ফলে প্রথম জয়ের দেখাটাও মিললো না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দলের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরে গেলো ৪ উইকেটের ব্যবধানে। হতে বাকি ছিল ১২ বল, তথা পুরো দুই ওভার।

চট্টগ্রামের এই জয়ের মূলে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের। তার দৃঢ়তার কারণেই বলতে গেলে নিশ্চিত হারের ম্যাচটি জিতে গেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানে যখন ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে, তখন পরাজয়ের শঙ্কাই চেপে ধরে চট্টগ্রামকে। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে টেনে আনে নুরুল হাসান সোহান। সঙ্গী হিসেবে পেলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার কেসরিক উইলিয়ামসকে।

নুরুল হাসান সোহান সিলেটের বোলারদের দেখে-শুনে খেলে ২৪ বলে করেন ৩৭ রান। ১৭ বলে ১৮ রান করেন উইলিয়ামস। দু’জনই অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

তবে ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্পিনার নাঈম হাসান যে ভুলটি করলেন, তা না হলে হয়তো শেষ মুহূর্তে ম্যাচটা জমেও যেতো। কারণ, কেসরিক উইলিয়ামস সরাসরি ক্যাচ দিয়ে বসেন বোলার নাঈমের হাতে। কিন্তু বলটা হাতের তালুতে নিয়েও জমিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি। ফেলে দিলেন।

ওই সময় আউটটা করতে পারলে, চাপে পড়তো চট্টগ্রাম। ম্যাচটা আরো ক্লোজ হতো। কারণ, তখনও ১০ রান প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। উইলিয়ামস এরপর একটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা মেরে ওই ওভারেই দলকে জয় এনে দেন। নুরুল হাসান সোহান তার ইনিংসে ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৩টি।

সোহান আর উইলিয়ামস ছাড়া চট্টগ্রামের হয়ে ব্যাট হাতে ভালো করেন আরেক ক্যারিবিয়ান লেন্ডল সিমন্স। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৭ বলে খেলেন তিনি ৪৪ রানের ইনিংস। এছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা দুই অংকের ঘরও ছুঁতে পারেননি।

এ নিয়ে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার একেবারে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে খুলনা টাইগার্স। ৪ পয়েন্ট রয়েছে রাজশাহী রয়্যালস এবং ঢাকা প্লাটুনেরও। সিলেট থান্ডার্স ৪ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি।