সালাউদ্দিন আহমেদ রাজনঃ আজ শনিবার দেশের ই–কমার্স খাতের একমাত্র সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। রাজধানীর ধানমন্ডি ৯/এ তে সাইয়্যেদানা কমিউনিটি সেন্টারে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বিরতীহীনভাবে চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে অগ্রগামী, দ্য চেঞ্জ মেকারস ও ঐক্য নামে তিনটি প্যানেলের ২৭ জনসহ মোট ৩১ প্রার্থী কার্যনির্বাহী পরিষদের ৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৭৯৫।

নির্বাচনে অগ্রগামী প্যানেলের সদস্যরা হলেন ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের শমী কায়সার, কমজগৎ টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ, ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন, রেভারি করপোরেশন লিমিটেডের নাসিমা আক্তার, ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ, ডিজিটাল হাব সলিউশনস লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, ফোকাস ফ্রেমের মো. রুহুল কুদ্দুস, পেপারফ্লাই প্রাইভেট লিমিটেডের শাহরিয়ার হাসান ও ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের সৈয়দা আম্বারীন রেজা।

দ্য চেঞ্জ মেকার্স প্যানেলের সদস্যরা হলেন সিপরোকো কম্পিউটারস লিমিটেডের শাফকাত হায়দার, বাংলামেডস ফার্মেসি লিমিটেডের ওয়াসিম আলিম, ক্লিনফোর্স লিমিটেডের মো. তাসদীখ হাবীব, আরটিএস এন্টারপ্রাইজের জিসান কিংশুক হক, কিনলে ডটকমের মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের বিপ্লব ঘোষ, সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের মো. ইলমুল হক এবং হুর নুসরাতের নুসরাত লোপা।

ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা হলেন যাচাই ডটকম লিমিটেডের আবদুল আজিজ, মেনসেন মিডিয়ার তৌহিদা হায়দার, স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেডের আরিফ মোহাম্মদ আবদুস শাকুর চৌধুরী, পরান বাজারের মো. আরিফুল ইসলাম, এস এম ইন্টারন্যাশনালের মো. ছোফায়েত মাহমুদ, ক্রাফটস ম্যান সল্যুশনের মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম, র্যাপিডো ডেলিভারিসের সামদানী তাব্রীজ, আই এক্সপ্রেস লিমিটেডের মো. তাজুল ইসলাম এবং নুরতাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের মো. সেলিম শেখ।
তিন প্যানেলের ২৭ প্রার্থীর বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আদি বিডি লিমিটেডের ফাতিমা বেগম, বিডি এক্সক্লুসিভের মুহাম্মাদ ইসমাইল হুসাইন, যাচাই লিমিটেডের মাফিয়া নাহিদ এবং পাবলিক্স মেট্রো লিমিটেডের মো. আবদুল আলিম।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিন হেলালী। বাকি সদস্যরা হলেন এ এইচ এম বজলুর রহমান ও মো. আবদুর রাজ্জাক।
নির্বাচনে তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মো. নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন খান ও মো. হারুনুর রশিদ।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটার মোট ৯ জনকে ভোট প্রদান করতে পারবেন। ৯টির বেশী বা কম হলে ভোটদানপত্রটি বাতিল হয়ে যাবে। ভোটারদের পরিচয়পত্র কেন্দ্রের প্রবেশপথে দেয়া হবে। শুধুমাত্র ভোটার ও অনুমোদিত ব্যক্তিগণ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বুথ কাউন্টার থেকে ব্যালটপত্র বা ভোটদান পত্র সংগ্রহ করতে হবে। ভোট প্রদানের জন্য ব্যালটপত্রের নির্ধারিত স্থানে ক্রস (X) প্রদান করতে হবে। ক্রসটি বুথে নির্ধারিত কলম দ্বারা করতে হবে। নির্দিষ্ট কলমটি নির্বাচন বোর্ড থেকে প্রদান করা হবে। ব্যক্তিগত কলম বা বলপেন ব্যবহার করা যাবে না। (X) ক্রসটি এমনভাবে করতে হবে যাতে তা নির্ধারিত বক্সের বাইরে না যায়। নির্ধারিত বক্সের বাইরে কোনো দাগ বা লিখা যাবে না। ব্যালট পেপারটিকে একটি মাত্র ভাঁজ করতে হবে। একটির বেশী ভাঁজ করা যাবে না। ভাঁজ করে ব্যালটবক্সে রাখতে হবে। ভোটাররা ভোট প্রদান করার পর ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন। কোন ভোটারের ছবি পুরনো, অস্পষ্ট কিংবা মূদ্রনের সময় বাদ পড়লে তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা তার ফটোকপি সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষে বিগত ১৩ জুন রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ঐক্য প্যানেলের আলাপচারিতা, ১৫ জুন বনানী হোটেল শেরাটনে দ্য চেঞ্জ মেকার্স গালা নাইট এবং ১৫ জুন প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁয়ে অগ্রগামী প্যানেলের গ্র্যান্ড মিট আপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইক্যাব সদস্যরা ব্যালটে ভোট প্রদানের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তিনটি প্যানেলের পক্ষ থেকেই ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে। তবে শেষে কোন ৯ জন বিজয়ী হবেন তা জানা যাবে ভোটের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর।