সালাউদ্দিন আহমেদ রাজনঃ বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের একমাত্র সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) এর ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের ৯টি পদের মধ্যে আটটিতে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে অগ্রগামী প্যানেল। দ্য চেঞ্জ মেকারস প্যানেল পেয়েছে একটি পদ। আর ঐক্য প্যানেল থেকে কেউ বিজয়ী হতে পারেনি।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাইয়্যেদানা কমিউনিটি সেন্টারে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে অগ্রগামী, দ্য চেঞ্জ মেকারস ও ঐক্য নামের তিনটি প্যানেলের ২৭ জনসহ মোট ৩১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ৭৯৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৬১১ জন। ১০ টি ভোট বাতিল করা হয়। মেশিনে ভোট গণনার পর রাত পৌনে আটটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিন হেলালী। এই সময় বাকি দুই সদস্য এ এইচ এম বজলুর রহমান ও মো. আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের পুরো সময়ে ভোটারবৃন্দ ও সমর্থকরা ছাড়াও সাংবাদিকবৃন্দ, পর্যবেক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ই-ক্যাব এর ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৫৩ ভোট পেয়েছেন ফুডপান্ডার সৈয়দা আম্বারীন রেজা। এছাড়া বিজয়ী অন্যরা হলেন কমজগৎ টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ (প্রাপ্ত ভোট ৩৮৬), ধানসিঁড়ি ডিজিটালের শমী কায়সার (৩৬৫), ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ (৩৩২), পেপারফ্লাইয়ের শাহরিয়ার হাসান (৩০৮), রেভারি করপোরেশনের নাসিমা আক্তার (৩০৭), ডায়াবেটিস স্টোরের মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন (২৮৭), ডিজিটাল হাব সলিউশনসের মো. সাইদুর রহমান (২৭৩) ও সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের মো. ইলমুল হক (২৭০)।


ই-ক্যাব এর সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ই–ক্যাবের এই নয় পরিচালকের মধ্যে আগামী তিন দিনের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির পদ বণ্টনের নির্বাচন হবে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কার্যনির্বাহী কমিটির পদ বণ্টনে শমী কায়সার সভাপতি এবং মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

এদিকে দ্য চেঞ্জ মেকারস প্যানেল এবং ঐক্য প্যানেল মেশিনে গননাকৃত ফলাফল প্রত্যাখান করে হাতে ব্যালট পেপার পুনরায় গননার দাবী তুলেছে। তারা এই ব্যাপারে আপিল করবেন বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে অগ্রগামী প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিজয়কে ই–ক্যাবের সদস্যদের ভালবাসার বিজয় হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। এবারের ই–ক্যাবের নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন মো. নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেলোয়ার হোসেন খান ও মো. হারুনুর রশিদ।
ই–ক্যাবের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরই দ্য চেঞ্জ মেকারস প্যানেল এবং ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা এবং সমর্থকরা হাতে ব্যালট পেপার পুনরায় গননার দাবীতে শ্লোগান দেয়া শুরু করলে ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এই সময় তারা মেশিনে ব্যালট পেপার গননায় কারচুপির অভিযোগ করেন। পরবতীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে এবং ব্যালট বাক্স ধানমন্ডি থানাতে নিয়ে যাওয়া হয়।