প্রিয় পাঠক/পাঠিকা, এই বিভাগে আপনারা যেকোন বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। সকল প্রশ্ন doc ফরম্যাটে এমএস ওয়ার্ডে টাইপ করে পাঠাতে পারেন bestnews.com.bd@gmail.com এই ইমেইল ঠিকানাতে। লেখার সাথে অবশ্যই আপনার পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর লিখতে ভুলবেন না।
প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার পদ্ধতি জানতে চাই। মো: সাজ্জাদ খান, ফুলবাড়ীয়া, ঢাকা
উত্তর: ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাবার পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। এজন্য আপনাকে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে, যা দিয়ে আপনি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর আপনাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় আপনাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। বিআরটিএ নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। যেকোন ডাক্তার কর্তৃক প্রদানকৃত মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী- ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। সদ্য তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি বিআরটিএ নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আপনার বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। বিআরটিএ নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৪৩৮/-টাকা ও অপেশাদার (কার ও মোটর সাইকেল)- ২৩০০/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/app_for_learners_driving_license.pdf
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/latest_dl_form.pdf
মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/brta_application_form_medical_report-1.pdf
প্রশ্ন: ভিক্ষাবৃত্তির জন্য অঙ্গহানির ব্যাপারে প্রচলিত আইনে কোন বিধান আছে কি? লিজা, লালমনিরহাট
উত্তর: ভিক্ষাবৃত্তির কারণে যারা অঙ্গহানি করেন তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে সুস্পষ্টভাবে শাস্তির বিধান আছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ এর ১২ ধারাতে বলা আছে- যদি কোন ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির উদ্দেশ্যে কোন শিশুর হাত, পা, চোখ বা অন্য কোন অঙ্গ বিনষ্ট করেন বা অন্য কোনভাবে বিকলাঙ্গ বা বিকৃত করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন। এছাড়া দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৩২০ ও ৩২৫ ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কাউকে অঙ্গহানির জন্য গুরুতর আঘাত করলে যেকোন বর্ণনার কারাদন্ডে যার মেয়াদ ৭ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।