1. anikaslifebd@gmail.com : Khundkar Ayesha Shahriyar Anika : Khundkar Ayesha Shahriyar Anika
  2. khs@professionals.com.bd : bestnews : Khundkar Hasan Shahriyar
  3. khs85bd@gmail.com : Hasan Shahriyar : Khundkar Hasan Shahriyar
  4. rafat0071@gmail.com : Ashiqur Rahman : Ashiqur Rahman
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নরওয়েতে শেষ হলো জাতিসংঘের ২০তম ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের বার্ষিক সভা অবিশ্বাস্য মূল্যে অপোর অনবদ্য ডিভাইস নেপাল কে হারিয়ে ফাইনালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপার পথে বাংলাদেশ বিএনপিকে নিয়ে একটি মহলের মিথ্যাচার ও স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচার অতুলনীয় ডিজাইন ও মুগ্ধতাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে আসছে ‘অপো এ৫ প্রো’ মুশফিক-শান্তদের বেতনের পাশাপাশি ম্যাচ ফিও বাড়ছে ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল ইরানের অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সাইবার কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পের কাছে অপদস্থ হওয়ার পরও খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরে প্রস্তুত ইউক্রেন

আপিলেও মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল

বেস্ট নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

আদালত প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে মীর কাসেমের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায় হচ্ছে না আজ।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দেয় আপিল বিভাগ।

আপিলের রায়ে বলা হয়, আসামিপক্ষে আনা আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রসিকিউশন আনীত অভিযোগের মধ্যে ৪, ৬ ও ১২ নং অভিযোগ থেকে মীর কাসেম আলীকে খালাস এবং  ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে ট্রাইব্যুনালে দেয়া দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ আদালতও বহাল রেখেছে। রায়ে প্রত্যাশিত ফল পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধী যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন ছাত্রসংঘের নেতৃত্বে থেকে পাক বাহিনীর সহযোগী আলবদর বাহিনী করেছেন তাদের মধ্যে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রসংঘের ওই সময়ের সেক্রেটারী জেনারেল মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১১ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এ অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ৬ জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে ৭ কার্যদিবসে এ মামলার শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এ আপিল দায়ের করেন। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ১১ নম্বর অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ৬ জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগে বিচারকরা সর্বসম্মতিক্রমে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। ১১ ও ১২ নং অভিযোগ ছাড়া বাকি ১২টি অভিযোগই অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্রগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়। আজ আপিলের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© ২০১৫-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত |