আবদুর রউফ খান: দীর্ঘ ছয় বছর পর বিএনপির কাউন্সিল। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ এলাকায় অবস্থান নেয় দলীয় নেতাকর্মীরা। দুপুরের পর দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে যানবাহন সংখ্যাও কমতে থাকে। তবে সকালের সেই চাপ সন্ধ্যাতেও কমেনি কাউন্সিল সংলগ্ন সড়কে।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ৬টার পর থেকেই নেতাকর্মীদের সমাগম শুরু হয়। ১০টা না বাজতেই পুরো এলাকার রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামী চাকরিজীবী মানুষদের। কিন্তু চাপ কমেনি বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা বেলাতেও। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যানবাহন, দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের যানবাহনের কারণে রাস্তার অর্ধেক লেনই ছিল দখলে। বাকি রাস্তার উপরে পুলিশ, দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যানবাহনের সংখ্যা কম হলেও লাগছে যানজট।
বিশেষ করে দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতেই শোক প্রস্তাব পেশ শেষে কাউন্সিলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার আগামী তিন বছরের জন্য খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও তার ছেলে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেন। এরপর আবারো দলীয় নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে মিছিল ও স্লোগান দিয়ে কাউন্সিল স্থলে আসা শুরু করেন।
কাউন্সিলে বেশির ভাগ ডেলিগেটরসরা বসার জায়গা না পেয়েও সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকেন। ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাস্তায় অবস্থান নেন কাউন্সিলরবৃন্দ। এতেই সেই সকালের মতোই যানজট দেখা দেয় সংশ্লিষ্ট এলাকায়।