1. anikaslifebd@gmail.com : Khundkar Ayesha Shahriyar Anika : Khundkar Ayesha Shahriyar Anika
  2. khs@professionals.com.bd : bestnews : Khundkar Hasan Shahriyar
  3. khs85bd@gmail.com : Hasan Shahriyar : Khundkar Hasan Shahriyar
  4. rafat0071@gmail.com : Ashiqur Rahman : Ashiqur Rahman
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নরওয়েতে শেষ হলো জাতিসংঘের ২০তম ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের বার্ষিক সভা অবিশ্বাস্য মূল্যে অপোর অনবদ্য ডিভাইস নেপাল কে হারিয়ে ফাইনালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপার পথে বাংলাদেশ বিএনপিকে নিয়ে একটি মহলের মিথ্যাচার ও স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচার অতুলনীয় ডিজাইন ও মুগ্ধতাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে আসছে ‘অপো এ৫ প্রো’ মুশফিক-শান্তদের বেতনের পাশাপাশি ম্যাচ ফিও বাড়ছে ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শনে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল ইরানের অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সাইবার কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পের কাছে অপদস্থ হওয়ার পরও খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরে প্রস্তুত ইউক্রেন

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিকল্প খসড়া মিসরের, উপেক্ষিত হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিপরীতে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে মিসর। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স যাচাইকৃত ওই খসড়ায় হামাসকে পাশ কাটিয়ে গাজা শাসনের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতায় সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা রয়টার্সের কাছে খসড়াটি প্রকাশ করেছেন। এটি এখনও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি বিধায় ওই কর্মকর্তা নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

গাজা নিয়ে মিসরের পরিকল্পনাটি মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আরব লীগ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ কখন শুরু হবে-গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের পর নাকি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি সময়কালে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।

হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর গাজা বিষয়ে এক বিস্ফোরক পরিকল্পনার কথা প্রস্তাব করেন ট্রাম্প। তিনি গাজা থেকে সমস্ত ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে স্থানটিকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তোলার এক আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সংকট নিরসনে দীর্ঘদিনের দুই রাষ্ট্র সমাধান থেকে পুরোপুরি সরে আসার ইঙ্গিত দেন তিনি, যা ফিলিস্তিনসহ আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে।

সংঘাত বন্ধের পর গাজার শাসনভার কার হাতে যাবে- এই প্রশ্নের এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। এদিকে, ফিলিস্তিনের ওপর বাইরের কোনও শক্তির চাপিয়ে দেওয়া সমাধান সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করে আসছে হামাস।

মিসরের পরিকল্পনাতেও এসব প্রশ্নের যথাযথ কোনও সমাধান দেখতে পায়নি রয়টার্স। গাজার পুনর্গঠনের অর্থ কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, শাসনভার কে নেবে অথবা হামাসের মতো প্রভাবশালী এক সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মাঠের বাইরে রেখেই কীভাবেই বা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে- এসব সংক্রান্ত বিস্তারিত কোনও আলোচনা সেখানে দেখা যায়নি।

মিসরীয় খসড়া অনুযায়ী, গাজা পরিচালনাকারী হামাসের বদলে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নেবে গভর্ন্যান্স অ্যাসিট্যান্স মিশন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্গঠনের দায়িত্ব থাকবে তাদের হাতে।

খসড়ার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, হামাসের মতো প্রভাবশালী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী গাজার স্থানীয় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন প্রকল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত কোনও পরিকল্পনা কাঠামো এর আগে মিসরের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়নি।

ট্রাম্প তার বিতর্কিত প্রস্তাব উত্থাপনের পর থেকেই মিসর, জর্ডান অ উপসাগরীয় দেশগুলো বিকল্প একটি সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত একাধিক খসড়ার মধ্যে মিসরের পরিকল্পনাই অগ্রগণ্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিসরের পরিকল্পনায় আরব দেশগুলো সমর্থন দেবে কিনা, রয়টার্স তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মিসরের পরিকল্পনার অন্তর্বর্তীকালীন শাসকগোষ্ঠী কীভাবে গঠন হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত বলা হয়নি। এতে কেবল উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ এবং বাইরের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পুনর্গঠন কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশ্য, ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে মিসর ও জর্ডানসহ অন্যান্য আরব দেশে পুনর্বাসনের পরামর্শকে সরাসরি প্রত্যাখান করা হয়েছে। তাদের দাবি, এতে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© ২০১৫-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত |