রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সাইবার কার্যক্রম ও পরিকল্পনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্ণ হওয়ার সময় মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টার সময় এই সিদ্ধান্ত নিলো হোয়াইট হাউজ। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ কিছুটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। এর একটি কারণ হলো, এ ধরনের অপারেশন বাস্তবায়নে ব্যাপক গবেষণা, প্রস্তুতি ও সময়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়া, ওয়াশিংটন হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তারা মস্কোর শিকারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কায় থাকে।
উল্লেখ্য, মার্কিন অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ও সংবেদনশীল তথ্য চুরিতে সক্ষম অত্যন্ত দক্ষ একটি হ্যাকার বাহিনী রয়েছে রাশিয়ার।
সাবেক ও বর্তমান মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, সাইবারস্পেসে নিয়মিত দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে আসছে ওয়াশিংটন ও মস্কো। মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে অনুপ্রবেশ ও দেশটির নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাওয়া যাওয়ার কারণে সাইবারস্পেসে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কিছুটা বাড়তি ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পায় রাশিয়া।
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর হ্যাকাররা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সাইবার অপরাধী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বট, ট্রোল ও হ্যাকারের সহায়তায় ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনি ফল আনতে প্রচেষ্টা চালিয়েছে রাশিয়া। এরপর থেকেই প্রতিটি নির্বাচনে একই কাজ তারা কোনও না কোনওভাবে চালিয়ে গেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়াসহ যেকোনও পক্ষের সাইবার হামলা থেকে নিরাপদ রাখার মিশনে কোনও পরিবর্তন আসেনি বলে দাবি করেছে ইউএস সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি। দেশটির সরকারি নেটওয়ার্ককে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এটি।
সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, সংস্থাটি রাশিয়া ছাড়া অন্যান্য হুমকির দিকে এখন থেকে মনোনিবেশ করেছে। এর জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সংস্থাটি জানিয়েছ, আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসেনি। সংবাদমাধ্যম অন্যকিছু দাবি করলে তা ভুয়া এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।